ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুকে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) তলব করেছে। অর্থ পাচার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এক পত্রে উল্লেখ্য করা হয়, দুনীতি দমন কমিশন আইন ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা মতে উপযৃক্ত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার (সাবেক মেয়র মেথুর) বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সোমবার(১৭ এপ্রিল) দুদকের সহকারি কমিশনার মাহবুবুল আলমের স্বাক্ষরিত পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, আগামী ৩ মে বেলা ১০ টায় পত্র সাক্ষরকারির দপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময়ে হাজির হতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
ফরিদপুরের দুদকের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের ঢাকা অফিস দেখছে।এই ফাইলটি নিয়ে ঢাকা দুদক কার্যালয় একজন তদন্তকর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি কোন সহযোগিতা চাইল আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে শেখ মাহাতব আলী মেথু বলেন, দুদকের কোন চিঠিই এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। তবে ইনশাল্লাহ আমি প্রস্তুত আছি যে কোন তথ্য দিতে এবং যেকোনো পরিবেশ মোকাবেলা করতে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ফরিদপুরের একটি মহল তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। হয়তো তাই অংশ হিসেবে এই চিঠি আমাকে প্রেরণ করেছে।
ফরিদপুর পৌরসভার ইতিহাসে তিনি দীর্ঘ সময়ের চেয়ারম্যান এবং মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত। ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় তার নাম আলোচনায় আসে। শেখ মাহাতাব আলী মেথু সর্বপ্রথম ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এরপর ২০০২ সালে কয়েক মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এর দেড় বছর পর আবার মেয়রের চেয়ারে আসীন হন মাহতাব আলী মেথু। সর্বশেষ ২০২১ সালের তিনি নির্বাচন না করায় জানুয়ারি মাসে তিনি ওই চেয়ার থেকে সরে যান।
এআরএস