মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন

আব্দুল কাইয়ুম প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম

সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরিফের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, ভোলাচোঁ, ঝাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর ও সুরঙ্গচাইল গ্রাম, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরঙ্গচাউল, কাইতাড়া, উভারামপুর, টোরামুন্সিরহাট, মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দিসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন।

জানা যায়, প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক (র.)। তার অনুসারীরা প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে থাকেন। সেই থেকে বেশ কয়েকটি গ্রাম সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে থাকে।

দরবার শরিফের খাদেম রাসেল জানান, প্রথম চন্দ্র দর্শনের ফলে ঈদ-রোজা পালন করি। সেই হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা গেছে। তার ভিত্তিতে আজ শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে আমাদের এখানে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের পীর ও সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী জানান, আমরা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কোরবানির ঈদ উদযাপন করি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে। চাঁদপুরসহ সারাদেশে এর সংখ্যা বেড়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, আজ জেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ নামাজ পড়াকে কেন্দ্রকে করে সেখানে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুসল্লিরা নিরাপদে ঈদের জামাত শেষ করেছেন।

এআরএস