ট্রলারে মৃতদেহের বেশির ভাগই হাত-পা বাঁধা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম

কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসা ট্রলার থেকে উদ্ধার করা ১১ মরদেহের বেশিরভাগই ছিল হাত-পা বাঁধা ও অর্ধগলিত অবস্থায়। মরদেহগুলো পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খান খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্টেশন অফিসার খান খলিলুর রহমান জানান, রোববার দুপুরে ভেসে আসা ট্রলারটি থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগই মরদেহের হাত-পা বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর মাছ রাখার যে ফ্রিজ বা বিশেষ যে চেম্বার ট্রলারে রয়েছে, সেখানে ঢুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। ইতোমধ্যে উদ্ধারকৃত মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, স্থানীয় ছেলেরা গভীর বঙ্গোপসাগরে ওই ট্রলারটি দেখতে পান। শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে জেলেরা ট্রলারটি টেনে নাজিরারটেক পয়েন্টে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে এনে রোববার সকালে ট্রলারের ভেতর থেকে গলিত বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়।

কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে খবর পেয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটি এখনও সাগরে রয়েছে। আমাদের টিম সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। মরদেহগুলো পচে ও গলে কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মহেশখালী থেকে ১৬ জন জেলে নিখোঁজ ছিল। এসব মরদেহ তাদের কারও কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরএস