চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে হাবিল উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।
গত রোববার রাতে উপজেলার তালিনা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, হাবিল উদ্দিন আমার ননদের স্বামী। সে আমাদের কেনা জমিতেই ৪/৫ বছর ধরে থাকেন। গত রোববার আসরের আযানের সময় তার সঙ্গে মেয়েকে ঘাস কাটতে পাঠিয়েছিলাম।
সন্ধ্যার লাগার সময় সে অসুস্থ্য অবস্থায় ফিরে এসে ওই দুর্ঘটনার কথা জানায়। এ সময় আমি আমার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। এরমধ্যে সে ফোন বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করেন।
তবে বেশ সময় এলাকায় খোঁজাখুজির পর তাকে পাওয়া যায়। এ সময় তাকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। ওই মেয়ে তালিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্ত হাবিল উদ্দিন সম্পর্কে ওই মেয়ের ফুফা হন বলে জানা গেছে। সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) ওই মেয়ের পিতা বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলা নাম্বার -৩।
খবর পেয়ে অভিযুক্ত হাবিল উদ্দিন ও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন বলে নিশ্চিত করেন কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিবুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন কুমার ঘোষ বলেন, পুলিশ তাদেরকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় ছেলেটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আর মেয়েটিকে দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনায় যে সাপোর্ট দরকার, তা আমাদের এখানে নাই। এ জন্য রেফার্ড করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজগর আলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষা ও আসামিকে ঝিনাইদহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এইচআর