লক্ষ্মীপুরে সরকারি কোয়ার্টারে বিধবাকে খুনের দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম

লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বিধবা নারী মমতাজ বেগম খুনের ঘটনায় তার ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে দুপুরে পৌরসভার মজুপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি জানান, গ্রামের বাড়িতে মমতাজ ও তার বড় ছেলে বাপ্পী ঈদ উদযাপন করতে যায়। কিন্তু ছোট ছেলে রকি তাদের সাথে যায়নি। সে কোয়ার্টারেই ছিল তিনদিন ধরে।

ছোট ছেলের সঙ্গে মমতাজের ব্যক্তিগত জীবনযাপন নিয়ে মনোমালিন্য ছিল। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বড় ছেলে বাপ্পী তার মাকে বাসে উঠিয়ে দেয় কোয়ার্টারের বাসায় আসার জন্য। 

মমতাজ বেগম বাসায় আসলে রাতে ছোট ছেলে রকি ধারালো ছুরি দিয়ে মাকে হত্যা করে তারপর লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে পালিয়ে যায়। বড় ছেলে বাপ্পী বাড়িতে এসে দরজায় রক্ত দেখে ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পেছনের দরজা দিয়ে বাসায় ঢুকে পুলিশ। ঢুকতেই একটি পাটি দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মমতাজ বেগমের শরীরের কাটা অংশ দেখতে পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) নিহত মমতাজের মেয়ে রোজি আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রকিকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।

নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। 

স্বামী মতিন মারা যাওয়ার পর থেকেই মমতাজ তার দুই ছেলে বাপ্পী ও রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছেন। তার বড় ছেলে বাপ্পী বর্তমানে মাষ্টার রুলে সড়ক বিভাগে কাজ করছেন।

এইচআর