হাটহাজারীতে নারীর মরদেহ উদ্ধার

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মেরী দত্ত (৫২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানার পুলিশ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পুণ্ডরীক ধাম এলাকায় একটি শ্মশানের পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড় থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

মেরী দত্ত পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের বারমাসিয়া এলাকার দত্ত বাড়ির কানু দত্তের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ছোট ছেলে সুজন দত্ত শহরে আর বড় ছেলে সুমন দত্ত দুবাই অবস্থান করছে। বড় ছেলের স্ত্রী শাশুড়ির সঙ্গে বাড়িতে থাকেন। একমাত্র মেয়ে শ্রাবন্তী দত্ত তার মায়ের সঙ্গে থাকেন। মেরি দত্তের স্বামীর একটি নার্সারি রয়েছে।

নিহতের ছোট ছেলে সুজন দত্ত মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মা শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে আমার বাবার নার্সারিতে যায়, সেখান থেকে কোথায় চলে যায় আমরা জানিনা। মাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করি, পরে খবর পেলাম হাটহাজারীতে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, কারণ এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি রাগ করে ঘর থেকে বের হয়েছেন, আবার ঘণ্টা দুয়েক পরে ঘরে ফিরে আসতেন।

সুজন দও আরও বলেন, আমার মা বিগত তিনবছর ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ। আসার সময় নার্সারি থেকে বোতলে ভরে বিষ নিয়ে এসেছে মনে হয়। কারণ আমাদের নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের বিষ থাকে। কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাগরিবের পর জমি থেকে এক কৃষক বাড়ি ফেরার পথে পুকুরপাড়ে ওই মহিলার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি জানাজানি হলে পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে তার মুখে ফেনা এবং পাশে সেভেন আপের একটি বোতল পাওয়া যায়।

জানা যায়, মেরী দত্ত শনিবার সকালে তার নিজ এলাকা থেকে হারিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার হারিয়ে যাওয়ার সংবাদ প্রচার করা হয়।

এ বিষয়ে মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ বেলাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

এআরএস