বিসিসি নির্বাচন

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হাতপাখার প্রার্থীকে শোকজ

বরিশাল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীর সোমবার (৮ মে) রাতে ফয়জুল করীমকে এ নোটিশ দেন। চলমান সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রথম শোকজ নোটিশ পেলেন বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের এ প্রার্থী।

সোমবার বিকেলে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীতে শোভাযাত্রা করেন ফয়জুল করীম। তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালে পৌঁছলে নগরের প্রবেশমুখ গড়িয়ারপাড় থেকে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে আলেকান্দা আমতলা মোড়ে নিয়ে যান দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেল, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা প্রদর্শন করে আচরণবিধি ৫৭(ক) ১১(২) ও ১৩(৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অথবা মৌখিক ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য প্রার্থীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনার খবর জানতে পেরে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আগেই মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করেছেন এ প্রার্থী।

ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী মিডিয়া সেলের সদস্য নাসির আহমেদ নাইস মুঠোফোনে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় শোকজ নোটিশটি নগরের চাঁদমারীতে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়। ইসলামী আন্দোলনের মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা নাসির আহমেদ কাওছার স্বাক্ষর দিয়ে নোটিশ গ্রহণ করেন।

নাসির আহমেদ নাইস বলেন, এ শোকজ নোটিশ ষড়যন্ত্রমূলক। গত ২০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালে পৌঁছলে ব্যাপক শোডাউন হয়। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপি এর নেতৃত্ব দেন। এটাও আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। তখন আওয়ামী লীগকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তাই আইনিভাবে তিনি এখনো প্রার্থী নন। দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থানের পর সোমবার বরিশালে ফিরলে দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির হিসেবে উৎসুক নেতাকর্মীরা তাকে সংবর্ধিত করেছেন। জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়েই তা করা হয়েছে। এখানে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো বিষয় নেই।

এআরএস