হবিগঞ্জের মাধবপুরে হঠাৎ করে অপসাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতার দৌরাত্ম বেড়ে গেছে। তথাকথিত সাংবাদিকতার কারণে এসব লোকজন চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও হোটেলে অবৈধ ব্যবসা অভিযোগ উঠেছে।
এদের কারণে সাধারণ মানুষ ও মূলধারার সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্থ ও বেকায়দায় পড়ছেন। ওরা নিজেরাই তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় অনুমোদন ছাড়াই আইপি টিভি, অনলাইন পোর্টাল খুলে বিভিন্ন অপরাধীদের হাতে পরিচয় পত্র তুলে দিচ্ছে। এসব পরিচয় পত্র পেয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। এসব অপসাংবাদিকতা রোধকল্পে মাধবপুরের মূলধারার সাংবাদিকরা বুধবার (১০মে) দুপুরে মাধবপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির সভা ডেকে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে।
মাধবপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসানের সঞ্চালনায়, কার্যকরি পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহা. অলিদ মিয়া।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি সুব্রত দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সদস্য রোকন উদ্দিন লস্কর, শংকর পাল সুমন, আলাউদ্দিন, আইয়ূব খান, হীারেশ ভট্রাচার্য্য হিরু, সানাউল হক চৌধুরী শামীম আবুল হোসেন সবুজ, রাজিব দেব রায় রাজু, জামাল মো. আবু নাসের, বিকাশ বীর, একরামুল আলম লেবু, নাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তরা জানান, সম্প্রতি শাহজিবাজার এলাকা ও শ্রীধর পুর থেকে সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ২ যুবক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিজিবি’র হাতে মাদক পাচার কালে আটক হয়। এতে প্রকৃত সংবাদকর্মীদের পেশাগত মান ক্ষুন্ন হয়।
তারা বলেন, হঠাৎ করে মডেল ও ডিজিটাল সাংবাদিকতার নাম দিয়ে ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে উঠেছে । এ সংগঠনের অধিকাংশ লোক পেশাদার জাতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত নয়। সাংবাদিকরা এসব অপসাংবাদিকতার রোধ করার জন্য তথ্য ও সম্প্রাচার মন্ত্রণালয় সহ সরকারের প্রতি আহবান জানান।
আরএস