বিশ্বের কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার হলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম। হিলি মনসাপুর ৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই লোহার খনিতে ৬২৫ মিলিয়ন মে: টন লোহা মজুত রয়েছে।
যা সারাদেশের ৩০ বছরের লোহার ঘাটতি মেটাবে এই খনি থেকে। এই লোহা খনি থেকে লোহা উত্তোলন হলে এই উপজেলাসহ দেশের জীবন মানউন্নয়নের চিত্র পাল্টে যাবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের মনসাপুর গ্রামে বড় পুকুরিয়া কোল্ড মাইনিং কোম্পানী তত্বাবধানে প্রিলিমিনারী স্ট্যাডি ফর ডেভলপমেন্ট শীর্ষক জরিপ কাজের পরিদর্শন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, প্রধান অতিথি দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন বড় পুকুরিয়া কোল্ড মাইনিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার,হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন, আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মন্ডল, থানার ওসি আবু সায়েম মিয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বড় পুকুরিয়া কোল্ড মাইনিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, ৫ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি কুপ খনন করে উত্তোলনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ভূ-তাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ২০১৩ সালে উপজেলার মুর্শিদপুর এলাকায় প্রথম কূপ খনন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইসবপুর গ্রামে ২য় পর্যায়ে কূপ খনন করে সেখানে ভূগর্ভের ১ হাজার ৭৫০ ফুট নীচে ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার স্তর পাওয়া যায়।
এর পর উপজেলার ভাটারা গ্রামে তৃতীয় কূপ খনন করা হয়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার হলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
এইচআর