টেকসই জ্বালানির জন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩, ০৬:২২ পিএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তর  টেকসই করার জন্য প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দেয়া হয়েছে। 

সোলার হোম সিস্টেম, মিনি-গ্রিড এবং সৌর সেচ ব্যবস্থার মতো বিতরণকৃত নবায়নযোগ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ লক্ষণীয় ভাভে সাফল্য পেয়েছে।  নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট জ্বালানি সিস্টেম ও মানব সম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার অঙ্গীকা্রবদ্ধ।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় একটি হোটেলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আয়োজিত “The Economic Dimension of the EU’s Global Footprint” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক মিশনের মাধ্যমে  অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবিক উন্নয়ন, নাগরিক সমাজের উন্নতি, কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়াসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু স্থায়িত্ব, শিল্প উন্নয়ন, স্মার্ট গ্রিড এবং স্মার্ট প্রযুক্তিতে সহায়তা প্রদান করেছে। 

অফশোর উইন্ড, ই-গভর্নমেন্ট উদ্যোগ, আইটি এবং আউটসোর্সিং সংস্থাগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি, বৈদ্যুতিক যান এবং বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন, বৈদ্যুতিক ট্রেন, স্মার্ট প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল -এর মানোন্নয়নে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুমি, অর্থায়ন, বিশ্বব্যাপী সুদের হার বৃদ্ধি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বাধা দিচ্ছে। তাছাড়া পুরাতন গ্রীড আমাদের সঞ্চালন ও বিতরণ সিস্টেমকে ব্যয়বহুল করে তোলছে। পাওয়ার ট্রেডিং গতিশীল করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। 

জ্বালানি নিরাপত্তা, জ্বালানি অবকাঠামো, স্মার্ট গ্রিড, গ্রিডের আধুনিকায়ন, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ইলেকট্রিসিটি ট্রেডিং, গ্রিন হাইড্রোজেন ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজে ক্রমবর্ধমান নির্ভরযোগ্যতা, ব্যয় হ্রাস ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করাকে  অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস)-এর প্রেসডেন্ট মেজর জেনারেল মুনিরুজ্জামান (অবঃ)-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেলিষ্ট ছিলেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি এবং গভর্নেন্স (IPAG)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মুনীর খসরু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ লাইলুফার ইয়াসমিন। প্যানেলিষ্টরা ইউরোপ থেকে আমরা কী কী বিষয়ে সহযোগিতা পেতে পারি এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোকপাত করেন।

এসময় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি  ও  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগ বক্তব্য রাখেন।

এইচআর