ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’

কক্সবাজারে আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম

অতি প্রবল রূপ ধারণ করে কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতি শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উপকুলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।

তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মোখা মোকাবেলায় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। যারা সাথে গাবাদি পশু অন্যান্য মালামাল ও নিয়ে এসেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এর সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৩। একই সঙ্গে এখনও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা অব্যাহত রেখেছে। রাতের মধ্যে তা ২ লাখের কাছা-কাছি পৌঁছে যাবে। জেলায় ৫৭৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও অর্ধ শত আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবন আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি জানান, ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ উপকুলীয় এলাকা জুড়ে মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আনা অব্যাহত রেখেছে।

বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইতিমধ্যে প্রায় সকল মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে ৪ হাজার ৩০৩ জন মানুষ রয়েছে। দ্বীপের ৩৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে তারা অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষকে রান্না করা খাবার প্রদান করা হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে জরুরী মেডিকেল টিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানও অব্যাহত রেখেছে।

শনিবার দুপুর ২ টার পর থেকে উপক‚লে বসবাসকারি মানুষদের মাইকিং করে দ্রæত আশ্রয় কেন্দ্র যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মুল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য সংস্থার সাথে পুলিশ মাঠে রয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না তাদের বুঝিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো নিশ্চিত করবে পুলিশ।

এদিকে, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে। দেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, দ্বীপের ২ টি সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, আবাসিক প্রতিষ্ঠান সহ ২২ টি দ্বিতল ভবন, ১৩ টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ভবন মিলে মোট ৩৭ টি আশ্রয় কেন্দ্রে দ্বীপবাসি অবস্থান নিয়েছেন। তার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

আরএস