কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখেরও বেশি মানুষ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ১১:১৮ এএম

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষায় কক্সবাজারে ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব থাকা মো. বশির উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু লোক সকালে বাড়িঘর দেখে আসার জন্য চলে গেছেন। তারাসহ অন্যান্য লোকজন আবার ফিরবেন।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে মেডিক্যাল দল, কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলো কাজ করছে। এছাড়া জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্ট গার্ড, পুলিশসহ অন্যদের মিলিয়ে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। সেখানে ওই দ্বীপের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ চলাকালীন ২০ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ হয়েছে; যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত অপরিবর্তিত রেখেছে আবহাওয়া অফিস। 

আরএস