ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কচাঁতলা বাজার থেকে নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখে ৮০০ মিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তাটি নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ লাখ ৯১ হাজার ৪৮১ টাকা।
কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিশিত বসুর নিকট থেকে কিনে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজী মাহবুবুর রহমান রুনু এ রাস্তার কাজ করছে। কাজের শুরুতেই রাস্তাটি নির্মাণের ব্যবহৃত বালির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তাটি নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের বালি ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরোজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সম্পূর্ণ রাস্তার বেডে ভেজা কর্দমাক্ত বালি ফেলা হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকরা নিম্নমানের এই বালি দিয়ে রাস্তার বেড ভরাট করছেন। তাদের ভাষ্যমতে, কালীগঞ্জ পৌরসভার বাবরা এলাকা থেকে ঠিকাদার এই বালি নিয়ে আসছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যবহৃত বালি বাবরা গ্রামের তিনটি পুকুর থেকে উত্তোলনকৃত বালি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শুরু থেকেই নিন্মমানের বালি দিয়ে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার। তাদেরকে একাধিকবার বলার পরও তারা এই কোমা বালি দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আবার ভেকু দিয়ে কাটা রাস্তার বেডও এক এক স্থানে এক এক রকম করে কেটেছে। আমরা বিষয়টি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে জানালে তিনি রাস্তাটি পরিদর্শন করেন এবং নিম্নমানের বালি অপসারণ করে মানসম্মত বালি ব্যবহার করার জন্য সেখানে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে নির্দেশনা দেন।
রাস্তাটির তদারকি কর্মকর্তা (এসও) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আমি অসুস্থ থাকায় নিম্নমানের বালি ব্যবহারের ব্যাপারটা জানি না। তবে আমি এখনই খোঁজ নিয়ে দেখছি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কাজী মাহাবুবুর রহমান রুনু বলেন, বালি ল্যাব টেস্টে পাঠিয়েছি। এলাকাসীর অসহযোগিতায় রাস্তার কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি রাস্তাটিতে গিয়েছিলাম। বালি দেখেছি।শিডিউলে ০.৫ গ্রেডের বালি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ রয়েছে। ল্যাব টেস্টের জন্য আমি রাস্তায় ব্যবহারিত বালির স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। বালির গ্রেড শিডিউলে উল্লিখিত গ্রেড কভার না করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআরএস