চলতি মৌসুমে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়ির উঠানে আর খোলা মাঠজুড়ে মরিচের ঝাঁঝালো গন্ধ জেলার সর্বত্র। মাঠ থেকে মরিচ তুলে বাজারজাত করতে পারছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতেই মরিচের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও ভালো পাওয়ায় খুশি মরিচ চাষিরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। আর ২২ হাজার ৭১০ টন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি মরিচ ১১০-
থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে পারায় খুশি চাষিরা। এদিকে মরিচ বাজারজাত ও বিভিন্ন বহুজাতিক কারখানায় সরবরাহ করার কাজে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার পাইকারি বাজারগুলো। মরিচের মান ভালো থাকায় জেলার হাট-বাজারগুলো থেকে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা এসব মরিচ আড়ৎদারদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব দেবীডুবা প্রধানপারার কৃষক হামিদার রহমান বলেন, আমি দুই একর জমিতে মরিচের চাষ করেছি ।আল্লাহ রহমতে ভালো ফলন হইছে কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা করে পাইছি তার মতে, আবহাওয়া ভালো থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ওই এলাকার আরেক কৃষক আব্দুল করিম এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, মরিচ করে শুধু আমরাই লাভবান নই বরং মরিচ তোলার কাজে নিয়োজিত লোকরাও অনেক লাভবান হচ্ছে। তাদের অনেকেই প্রতিদিন মরিচ তুলে দিয়ে আয় করেন ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নাঈম মোর্শেদ বলেন,এবার দেবীগঞ্জে মরিচের যথেষ্ট আবাদ হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছে চাষিরা। পঞ্চগড়ের মরিচ কাঁচা মরিচ হিসেবে যা বিক্রি হয় তার চেয়েও বেশি শুকিয়ে বিক্রি করা হয়। অনেকেই আবার মরিচ শুকিয়ে সংরক্ষণ করেন, পরে ভালো দামের আশায়। এই মরিচ বর্ষাকাল পর্যন্ত তুলতে পারবেন কৃষকরা।
আরএস