শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা টি ভারত সীমান্তবর্তী ঘেষা এলাকা। আর এই এলাকা দিয়ে ভারত মেঘালয় ও আসাম থেকে ৫টি নদী ও ৭টি ঝর্ণা প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের প্রবেশ করেছে। তাই অত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরে প্রবেশ করতে অনেক নদী পার হতে হয়। এই সমস্ত নদীর উপর প্রায় অধিকাংশ যাতায়াতের জন্য ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় ব্রিজ নেই, এক কথায় গ্রামের সাথে যোগাযোগের জন্য নানা সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে।
যাতায়াতের জন্য রাস্তা মেরামত নির্মাণ করা হলেও ব্রীজ সংকটে রাস্তা তৈরির সুফল পায়না গ্রামের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নয়নের সুবিধা থেকে বঞ্চিত গ্রামবাসী। কারণ গ্রামের কৃষকেরা তাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে হলে বাধার মুখে পরে যায়। শুধুমাত্র কিছু জায়গায় ব্রিজ না থাকায়। তাই বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল বাজার জাত করতে না পারায় বাড়িতে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে ব্যাপক সংকটে আছে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের চতল এলাকার কাটাদার এলাকা হয়ে গৌরীপুর ইউনিয়নে বনগাও বাজারে যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ না থাকায়। আর হাতীবান্ধা ইউনিয়নের গ্রামের সাথে যোগাযোগের জন্য কামারপাড়া এলাকায় পাগলামুখ নদীর উপর নেই ১ টি ব্রিজ। রয়েছে কাঠের নির্মিত জড়াজীর্ণ একটি সেতু। কাঠের ব্রিজের উভয় পাশে রয়েছে কাঁচা পাকা রাস্তা। রাস্তা থাকলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ১টি ব্রিজ সংকটে। ব্রিজ ২টি নির্মাণ হলে অত্র ঝিনাইগাতী উপজেলার সাথে ৭ টি ইউনিয়নের প্রায় সিংহভাগ গ্রাম অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে যাবে। এতে গ্রামের হাজার হাজার কৃষক, শ্রমিক, স্কুল-কলেজের, ছাত্র_ছাত্রী, কৃষকের উৎপাদিত ফসল সহ যাতায়াতে পথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আশা দিলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তাই গৌরীপুর ও সদর ইউনিয়নের ১৫ গ্রামবাসীর দাবি চতলের কাঁটাদার এলাকার একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি।
অপরদিকে হাতীবান্ধা এলাকার হাজারো গ্রামবাসী পরেছে পাগলার মুখ বাজারের পূর্ব পার্শে কামারপাড়া এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করা। অথাৎ আলাদা স্থানে একটি করে মোট ২ টি ব্রিজ নির্মান করে এলাকাবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব করতে সংশ্লিষ্ট উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আরএস