কমলগঞ্জ মাধবপুর ইউনিয়নে ১৫টি গরু চুরি

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

দুই মাসের ব্যবধানে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে ১৫টি গরু চুরি হওয়া, গরু চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারন কৃষকরা।

মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, ছয়ছিড়ি, পাত্রখোলা, মদনমোনপুর, মাধবপুর, পুরানবাড়ী, হিরামতিসহ বিভিন্ন গ্রামে ২ মাসের ব্যবধানে ১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

কৃষকের শেষ পুঁজিটুকু হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এদিকে, কেউ কেউ পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হওয়া গরু ফেরত পেয়েছেন।

চুরি যাওয়া গরুর কৃষকরা (মালিকরা) বলেন, রোববার রাতে মাধবপুর চা বাগানের পারুয়াবিল এলাকা থেকে দুটি গরু চুরি হয়। যার মধ্যে একদিন আগেই একটি নতুন বাছুর জন্ম দিয়েছিল।

গাভীটির মালিক পরের দিন চা বাগান এলাকায় গাভীটিকে চড়তে দিয়ে আসলে আর মেলেনি। 
দু‍‍`দিন পর মোস্তফা মিয়ার ফিসারি ও খ্রিষ্টানদের গির্জা ঘরের পাশ থেকে দুটি গরুর চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ। নিজের শেষ পুঁজিটুক হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা।

এ ঘটনায় পারুয়াবিল গ্রামের আফজাল হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত গরু চোরের দেওয়া তথ্যমতে বাকিদের খুঁজছে পুলিশ।

এর মাসখানেক আগে দিনেদুপুরে নোয়াগাঁও রাস্তার মুখ থেকে ফিল্মিস্টাইলে সবার চোখের সামন থেকে গরু ধরে হেঁটে নিয়ে যায় এক লোক। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক লাগানো সিসি ফুটেজে একটি লোক গরু নিয়ে যাচ্ছে৷ হেঁটে চলে যাওয়া লোকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এর কিছুদিন পর হিরামতি গ্রামের নিল কুমার সিংহ তার গরুকে মাঠে বেঁধে কাজ করছিলেন, এ সুযোগে চোর তার পেছন থেকে গরুটিকে নিয়ে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর গরুটি পাওয়া যায়নি।

এলাকায় গরু চোরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসিদ আলী বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে আট থেকে দশটি গরু চুরি হয়েছে। 

আমার পূর্বে গরু চুরির সংখ্যা আরও বেশি ছিল। আমরা তৎপর হওয়ায় তাদের চুরির ধরন পাল্টিয়ে গরু কেটে বস্তায় ভরে মাংস পাচার করছে চোর চক্র। ঈদকে সামনে রেখে চুরি রোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা মিটিং ডাকা হয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, গরু চুরির ঘটনায় যে কয়টি মামলা করা হয়েছে সবকটি মামলা আমরা নিয়েছি। চোরদের ধরে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি। এছাড়া রাত্রিকালীন টহল জোরদার করা হয়েছে।

এইচআর