শুক্রবার দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকা থেকে নবজাতিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় মুল অভিযুক্ত কাজলী খাতুন (৪২) ও তার সহযোগী অপর এক নারী কাজলী (৩০)-কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালে একদিনের ভুমিষ্ট নবজাতিকা তার দাদি খাইরুন নাহারের কোলে ছিল। সেসময় নার্সের পোশাক পরিহিত মোছা. কাজলী এসে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে তার দাদির কোল থেকে নিয়ে যায়।
পরে দীর্ঘসময় ঐ নার্স ফিরে না আসায় স্বজনরা শিশুটির খোঁজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পুরো হাসপাতাল চত্বরে সেই নারীর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। ঘটনার পরপরই সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।
টানা অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সকাল পৌনে ৮টার দিকে নবজাতিকাকে কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় মোছা. কাজলী খাতুনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশের টিম। পুলিশ সুপার জানায় এটা কোন সংঘবদ্ধ চোর চক্রের কাজ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় সদর হাসপাতালের কেউ জড়িত আছে কিনা তাও তদন্ত করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিং-এ জানানো হয়।
নবজাতিকার বাবা নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান জানান, সদ্য ভুমিষ্ট কন্যাকে হারিয়ে তারা সবাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছিলেন। সবার দোয়ায় ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনির তৎপরতায় তিনি হারানো মানিককে ফিরে পেয়েছেন। তিনি অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবী করেন।
এইচআর