কচুর লতি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের অনেক প্রান্তিক চাষীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে লতির চাহিদা থাকায় বিক্রি হয় প্রচুর। অল্প পরিশ্রমে লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করছেন কচুর লতি।
বর্তমানে লতি চাষে ব্যাপক আলোচিত হন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বীররাপুরের গফাঁকুড়ি এলাকা। এই এলাকার কৃষকরা দীর্ঘ যাবত ধরে লতি চাষ করে আসছে।
লতির গ্রাম হিসেবে উপজেলা জুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন গফাকুঁড়ি এলাকা। গ্রামের কৃষকরা কয়েক বছর পূর্বে কচুর লতি চাষ করে কোন রকম চলতো তাদের সংসার। এখন কৃষকরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি লতি বিক্রি করছেন। ঢাকার কাওরান বাজার, টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই লতি।
স্থানীয় কৃষক ফজর আলী, আব্দুর রহিম ওমর আলী জানান, তারা বেশ কয়েকবছর যাবৎ লতি চাষ করে আসছে। ধানের থেকে লাভজনক হওয়ায় তারা বারোমাসি লতি চাষ করেন।
এছাড়াও আব্দুর রহমান, ইব্রাহিম, নবী নেওয়াজ, শফিকুল, মকবুল ব্যাপারী এই ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে লতি কিনে প্রসেসিং করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। তারা জানান, চলতি মৌসুমে খরা ও আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় কৃষকদের জমিতে পর্যাপ্ত লতি হয়নি। গত বছরের তুলনায় এ বছর কৃষকদের জমিতে ফসল কম হয়েছে।
নবী নেওয়াজ ও শফিকুল ইসলাম বলেন, নিজের জমির পাশাপাশি তারা পাইকারি লতি ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। স্থানীয় গফাকুঁড়ি, ঠাকুরবাড়ি মোড়ে তারা শ্রমিক দিয়ে লতি পরিষ্কার করে পরিবহনযোগে অন্য জায়গায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
বর্তমানে এই ইউনিয়নের কৃষকরা লতি চাষের দিকে আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়াও লতি চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে ত্রিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
এআরএস