আসন্ন ঈদ-উল আযহায় হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের ৮২১ কি.মি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পশুবাহী যানবাহনের নিরাপদ চলাচল ও চাঁদাবাজিমুক্ত মহাসড়ক নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়ন।
এছাড়াও ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে রিজিয়নের ২২টি থানা/ফাঁড়ির ২ পালায় ৬৬ টি পেট্রোল টিমের পাশাপাশি কোন ইমার্জেন্সি সামাল দিতে থাকবে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম রাস্তায় দায়িত্ব পালন করবে। রোববার (১৮ জুন) ঈদকে সামনে রেখে আয়োজিত সমন্বয় ও মাসিক অপরাধ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
ঈদ উপলক্ষে ওই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। এবারের ঈদ যাত্রায় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ৫টি সরকারি ও ১২ টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক এম্বুলেন্স থাকছে দুর্ঘটনায় হতাহতের সেবার জন্য। ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোন যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে। এছাড়াও ২ টি গোয়েন্দা টিম কাজ করবে ঈদের আগে ও পরের সপ্তাহ ব্যাপী। একটি পূর্নাঙ্গ কন্ট্রোলরুমের পাশাপাশি থাকবে ৫টি সাব কন্ট্রোলরুম। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও আছে এ রিজিওনের ৮২১ কি.মি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে কোথাও কোন সংগঠন বা কোন চক্র কাউকেই চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট গন্তব্য ব্যতীত কোরবানির পশুবাহী গাড়ি ভিন্ন কোন জায়গায় জোরপূর্বক নামানো যাবে না। প্রয়োজনে হাইওয়ে পেট্রোল সেই গাড়িকে তার নির্দিষ্ট হাটে পৌছাতে সহায়তা দিবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সভায় এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তির ও নিরাপদ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। রাত্রিকালীন যানবাহনে ডাকাতি রোধে ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় এবারও হাইওয়ে পুলিশের সদস্য ছাড়াও বিশেষ ইউনিফর্মে থাকবে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য।
সভায় অতিঃ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ, সার্কেল এএসপিগণ, কুমিল্লা রিজিয়নের ২২ থানার ওসি ও মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস