ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের বজরাপুর কাগমারি বাওড়ে গোসল করতে নেমে আসিফ হোসেন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রের করুন মৃত্য হয়েছে।
সে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।
জানা যায় , আসিফ হোসেন গতকাল ঢাকা থেকে ভর্তিপরীক্ষা দিয়ে মঙ্গলবার (২০ জুন) বাড়িতে এসছিলো, দুপুরে বৃষ্টির সময় স্থানীয় বন্ধুদের সাথে কাগমারি বাওড়ে গোসল করতে যায়। কিন্তু গোসল করতে গিয়ে বাওড়ের পানিতে ডুবে যায় সে। চলে র্দীঘ সময় ধরে খোজা খুজি। কোন সন্ধ্যান না পেয়ে খবর দেওয়া হয় ডুবুরী দলকে। র্দীঘ ১০ ঘন্টা পর ডুবুরীরা বলুহর বাওড়ের তলদেশ থেকে উদ্ধার করে আনেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আসিফের মৃত দেহ।
স্থানীয়রা জানান, আসিফ ও তার দুই বন্ধু বাওড়ে নেমেছিলো কিন্তু আসিফকে ডুবে যেতে দেখে অন্যেরা বাচানোর চেষ্টা করেও যখন পারে না, তখন তার বন্ধুরা বাঁওড় থেকে উঠে আসে এবং একটি ছেলে বাওড় পাড়েই অজ্ঞান হয়ে যায়।
ঘটনাটা দুপুর দেড়টার সময়, তখন থেকেই স্থানীয় জেলেরা পানিতে নেমে অনেক খোজাখুজি করেও না পেলে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন তারা এসে খুলনা ডুবুরি টিমকে খবর দিলে, ৩ জন ডুবুরি বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এসে খোজাখুজি করে। এসময় হাজার হাজার উৎসুক জনতা বাওড়ের ধারে ভিড় করে।
অবশেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মৃত আসিফ হোসেনকে ডুবুরিরা উদ্ধার করেন। তখন এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়।
ডুবুরী দলের টিম লিডার সাইদুল ইসলাম জানান, খুলনা থেকে এসে আসিফের মৃত দেহ আমরা উদ্ধার করি । পরে পরিবারের কাছে তার লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ।
এসবিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফান হাসান চৌধুরী নুথান জানান, বাওড়ের পানিতে ডুবে যাওয়ার প্রায় ১০ ঘন্টা পর কলেজ পড়–য়া ছাত্রের মৃত দেহটি ডুবুরী দলের টিম লিডার সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উদ্ধার করা হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন পানিতে ডুবে কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরএস