সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ভোট দিয়ে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো পরিবেশই নেই। একপক্ষের পকেটে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বুধবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরের পশ্চিম সুবিদবাজারস্থ আনন্দ নিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এর আগে একই দিন ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হলেন, আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), স্বতন্ত্র মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), স্বতন্ত্র মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস)। স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।
এদিকে সিটি নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই তালিকা অনুযায়ী ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। নগরের ১৮টি ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ৫৮টি কেন্দ্র সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এইচআর