চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়াসহ পালানো আসামিসহ দুজন গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি মাসুদ রানা ও তার সহযোগী ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাঢ়িদহ ইউনিয়নের বাড়ীনগর গ্রামে ইলিয়াস আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, আটশ গ্রাম হেরোইন, দুটি মোবাইল ফোন, দুটি সীমকার্ড, একটি হাতকড়া ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার হওয়া মাসুম জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি জেলেপাড়া গ্রামের মো. নাজিবুল ইসলাম ওরফে নাজিবুরের ছেলে মো. মাসুম ওরফে মাসুদ রানা (২৮) এবং তার সহযোগী মো. ইলিয়াস (২৪) রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাঢ়িদহ ইউনিয়নের বাড়ীনগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে। 

ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার, কোম্পানী অধিনায়ক ফ্লাইট লে. মারুফ হোসেন  খান এবং কোম্পানী উপ অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রায়হান  শফিকের নেতৃত্বে

সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক রিয়াজ শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ মে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে হাতকড়া পরিয়ে সদর উপজেলার আলাতলী  ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় সদর থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযানে যায়। অভিযানে গিয়ে তার দেখানো মতে ১ কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে মাসুদ হাতকড়া নিয়েই অন্ধকারের মধ্যে হারিয়ে যান। 

এর পর র‌্যাব মাসুদকে গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুর্গম চরে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ভারত থেকে হেরোইন এনে তা বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে প্যাকেটজাত করার সময় তার কাছ থেকে হেরোইনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি বিদেশি পিস্তল ও পুলিশের হাতকড়া উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, গ্রেপ্তার মাসুদ একাধিক মাদক মামলার আসামি। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সে বেশ কিছুদিন ভারতে পালিয়ে ছিল। পরে কয়েকদিন আগে দেশে ফিরেছে। 

এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্যকে প্রথমে থানা থেকে প্রত্যাহার ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আরএস