রাজধানীর কেরানীগঞ্জে পোশাক কারখানার নাইট গার্ডকে বেঁধে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, সকল মালামাল উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুটি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত সরদার হামিদুল ইসলাম (৪০), আমিনুল ইসলাম ওরফে রাজু (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪২) মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন ড্রাইভার (৩২) আজিজুল হক আজিজ ড্রাইভার (৪৮) ইসরাফি (৩০, সজল মিয়া (৩০)এবং ডাকাতির মালামাল ক্রয় করার অপরাধে সাভার আশুলিয়া থেকে রাশিদা বেগম (৩৩) নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, গত ২ জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া নিশানবাড়ী এলাকায় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিঃ কারখানায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার রাতে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড কারখানার গেটে তালা লাগানোর সময় ৪/৫ ডাকাত গার্ডদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেধড়ক মারধর করে, এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক সিকিউরিটি গার্ডের তিনটি আঙ্গুল পড়ে যায়, তাছাড়া গার্ড ইনচার্জকে এলোপাথারি মারপিট করে ডাকাত দল।
ঘটনার পর আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির এর নেতৃত্ব একটি চৌকস দল দূর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য উদঘাটন করতে কাজ শুরু করে, এবং ফ্যাক্টরি আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের সনাক্ত করে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ কাজ করে আসছিলো বলে জানান এ কর্মকর্তা। উদ্ধার হওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস (দক্ষিণ) মো. আমিনুল ইসলাম,কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ, ওসি অপারেশন আশিকুর রহমানসহ অনেকে।
এইচআর