উদ্যোক্তা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন

চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ গ্যালারি নির্মিত

ইসলাম রকিব, চুয়াডাঙ্গা প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম

প্রদর্শিত হচ্ছে ১৯৪৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রামের তথ্য-উপাত্ত  


‘বাংলাদেশেকে জানুন এবং বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানুন’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন নিজ উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করেছেন ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ নামে একটি স্থিরচিত্র প্রদর্শনী কেন্দ্র। 

এ গ্যালারিতে শোভা পাচ্ছে ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের স্থিরচিত্র। একই সঙ্গে বাংলার রাখালরাজা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, রাজনীতি, সংগ্রামসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এই গ্যালারিটি এ প্রজন্মের শিক্ষার্থী, আপামোর জনসাধারণসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলাই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের একমাত্র উদ্দেশ্য। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সরাসরি এ গ্যালারি পরিদর্শনের মাধ্যমে জানতে পারবেন ১৯৪৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যুদয়, ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৬৯-এর অসহযোগ আন্দোলন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রাম, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন সম্পর্কে।

এ ছাড়া এখানে তুলে ধরা হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নানা আন্দোলন, সংগ্রাম ও উন্নয়নের তথ্যচিত্র। যেখানে চলতি ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন আলোকচিত্রের তথ্য-উপাত্তও স্থান পেয়েছে। সৃষ্টিশীল এ কাজের নির্মাতা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এতটাই কর্মোদ্যমী যে, তিনি এই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি নির্মাণ করেই ক্ষান্ত হননি; এ সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জেলা পুলিশের নিজস্ব পরিবহনে করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে এনে এ গ্যালারি পরিদর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছেন। যেখানে শিক্ষার্থীরা কোনো খরচ ছাড়াই ১৯৪৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত স্থিরচিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারছেন। তাই যে কেউ ইচ্ছে করলেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামের এই গ্যালারিটি পরিদর্শন করতে পারবেন। 

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের এই মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু’র বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম। এই স্থিরচিত্রগুলো অসামান্য লাইটিং প্রদর্শনীর মাধ্যমে আলোকচিত্রগুলো যেন জীবন্ত আকারে ফুটে উঠেছে। জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তাই তো আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হয়েছে এ গ্যালারিটিকে। অর্থ্যাৎ জ্ঞান ও সৌন্দর্যপিপাসু আব্দুল্লাহ আল-মামুনের রুচির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ গ্যালারিটি মূর্তমান হয়ে উঠেছে। 

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি তৈরির পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্থপতি বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা। এ ছাড়া বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান, যে ভ‚মিকা, যে নেতৃত্ব ছিল সে বিষয়টি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কেও পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে এ গ্যালারির মাধ্যমে।’

আরএস