অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে চাঁদাবাজি

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর জামিরা এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে গরুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে হাট বসানো ও টোল / রিসিভের মাধ্যমে টাকা আদায় করা সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু  উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছোরহাব মন্ডল জামিরা বাজারে ব‍্যক্তি মালিকানা জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে।

অবৈধ হাট কমিটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গরু ব‍্যবসায়ীরা। এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানালেও অদৃশ্য কারণে তিনি কোন সুরাহা দেননি বলে জানান এলাকাবাসী। সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার গরুর হাট বসে।

গত ঈদুল আযহার থেকে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তি অবৈধ এ গরুর হাট বসিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই হাটে  প্রথমদিকে কোন ধরনের চালানপত্র ছাড়াই গরু বেচা-কেনা করা হতো। এতে কোনটি বৈধ বা কোনটি চোরাই গরু তা বোঝার কোনো উপায় ছিল না। এলাকাবাসীর চাপে হাট কমিটি মনগড়া একটি রিসিভ বই তৈরি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এতে সরকারি ভাবে ইজারা দেয়া পিংনা, বাউসি, গাজীপুর , কাজীপুর উপজেলার নাটুয়ার পাড়া, মাদারগঞ্জ উপজেলার গোলাবাড়ি হাটসহ পার্শ্ববর্তী গরুর হাটগুলোতে বেচা-কেনার পরিমাণ উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গেছে বলে ইজারাদাররা জানান। ফলে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা জানান, এলাকার নিকটবর্তী হওয়ায় তারা এ বাজারে গরু বিক্রি করতে আসছে। তবে ইজারা না থাকায় এসব বাজার বৈধ নয় বলে তারা স্বীকার করেন।

পিংনা বাজারের ইজারাদার বলেন, মঙ্গলবার গরুর হাটের কারণে আমাদের বেচা-কেনা কমে গিয়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহের হাটে মাত্র ৫০ থেকে ১০০টি গরু বেচা-কেনা হয়। অনেক টাকা হাট ইজারা নিয়েছি এখন আসল টাকা আসবে কিনা সেই শঙ্কায় মধ্যে আছি।

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ বলেন, হাটের বিষয়টি আমি শুনেছি। খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এআরএস