মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে নদীতে নেমে আমান উল্লাহ (২৫) নামে ডুবুরি দলের এক প্রকৌশলী নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছোট বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আমান উল্লাহ খুলনার রুপসা উপজেলার দোয়াড়া এলাকার রজ্জব আলীর ছেলে। তিনি বাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমডি জামিল ইকবাল-এস কে ইমদাদুল হক আল মামুন এর নিয়োজিত কনসালটেন্ট ফার্মের ডুবুরি দলের প্রকৌশলী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিক্স ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (প্রজেক্ট-২) এর আওতায় আন্ডারওয়াটার রিভারব্যাংক প্রটেকশন উইথ জিওটেক্সটাইল ব্যাগ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের উজানপাড়া থেকে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আলগীরচর পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় ১২ লাখ বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ২২ কোটিরও বেশি টাকা কাজটি বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে নদীতে ফেলা বালুভর্তি জিও ব্যাগ যথাযথভাবে ফেলা হয়েছে কিনা দেখার জন্য অক্সিজেন মাস্ক এবং ডুবুরির যাবতীয় সরঞ্জামসহ সহকর্মী ডুবুরি মীর সাজ্জাদ হোসেনের (৫১) সাথে পানিতে ডুব দেন আমান উল্লাহ। ডুব দেওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পরে আমান উল্লাহ ভেসে উঠে সাহায্যের জন্য হাত উঁচু করলে নদীর পাড়ে থাকা আরেক ডুবুরি জাহিদ পানিতে নামেন। জাহিদ তার কাছে যেতে যেতে আমান উল্লাহ পানিতে তলিয়ে যান। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডুবুরি এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের দিয়ে খোঁজাখুঁজি চলছে।
বিকেল পাঁচটার দিকে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সাহায্যে আমান উল্লাহকে খোঁজাখুঁজি চলছে। এখনও তাকে পাওয়া যায়নি।
এআরএস