আরিফ হোসেন নামে যুবকের সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চার সন্তানের জননী। সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে কুমিল্লার চান্দিনায় চলে আসেন তারা। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর সহায়তায় আরিফকে হত্যা করেন ওই নারী। গত সোমবার রাতে চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের করতলা গ্রামে ঘটে এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। নিহত আরিফ একই উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে মাসখানেক আগে ছাতক থেকে চান্দিনা উপজেলার করতলা গ্রামে পালিয়ে আসেন আরিফ হোসেন ও এক গৃহবধূ। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে টালবাহানা শুরু করেন আরিফ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। গত সোমবার আরিফের বাসায় আসেন গৃহবধূর স্বামী। এ সময় বাসায় ছিলেন না আরিফ। এই সুযোগে তাঁকে হত্যার জন্য স্বামীর সঙ্গে পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ জানায়, হত্যার আগে রাতে আরিফের বাসার চৌকির নিচে লুকিয়ে থাকেন গৃহবধূর স্বামী। রাত ১০টার দিকে আরিফ বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লে ২টার দিকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করার জন্য প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বিছানার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে বাসার পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই তারিছ আলী। আসামিদের শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরএস