কুমিল্লায় সদর হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম

কুমিল্লা সদর হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে ওই হাসপাতালের জরুরী বিভাগসংলগ্ন টিকিট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

নবজাতক শিশুটি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বারপাড়া-কৃষ্ণপুর এলাকার মো. জসিম উদ্দিন ও আয়েশা আক্তার দম্পতির সন্তান। এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেছেন। তিনি কুমিল্লা ইপিজেডের একটি কোম্পানির শ্রমিক।

নবজাতকের বাবা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আয়েশা আক্তারের প্রসববেদনা ওঠলে গত বুধবার তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রসূতি ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গতকাল রবিবার নবজাতকের শারীরীক সমস্যা দেখা দেয়। এতে তার নানী নুরজাহান বেগম নবজাতককে কোলে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে যান। এ সময় সেখানে থাকা অজ্ঞাতনামা এক নারী কোলের শিশুটিকে তার কাছে দিয়ে টিকিট কাটার জন্য বলেন। এতে নুরজাহান শিশুটিকে ওই নারীর কাছে দিয়ে টিকিট কাটার পর দেখেন নবজাতকসহ ওই নারী সেখানে নেই। এতে তিনি হতবিহ্বল হয়ে হাসপাতাল ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে কোথায়ও পাননি। 

নবজাতকের বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেছেন। এ বিষয়ে তিনি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তার নবজাতককে উদ্ধারের জন্য পুলিশের নিকট দাবি জানান। 

কুমিল্লা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবদুল করিম খন্দকার বলেন, নবজাতকসহ তার মা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সত্বেও নবজাতককে নিয়ে তার নানী কেন টিকিট কাউন্টারে আসলেন এবং কেনইবা নবজাতককে অপরিচিত মহিলার কোলে দিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক তদন্ত ত্রিনাথ সাহা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) একাধিক টিম কাজ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা নবজাতককে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

আরএস