সাঈদীর জানাজায় সংঘর্ষ, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৩:১৮ পিএম

জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় চকরিয়ার কর্মরত চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দু’টি মামলায় আসামি করা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাঁধা ও অপরটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। দুইটির মামলার বাদি চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আল ফোরকান। আসল ঘটনা আড়াল করতে চার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে দাবী করেন সাংবাদিক নেতারা।

তারা বলেন, দিনদুপুরে মিছিল থেকে কারা গুলি চালালো এবং কারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়েছে। অথচ আসল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই চার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তারা হলেন, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবকন্ঠের চকরিয়া প্রতিনিধি আবদুল মজিদ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক নয়াদিগন্তের ওমর আলী, চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বদেশ ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের চকরিয়া প্রতিনিধি একে এম ইকবাল ফারুক, দৈনিক কক্সবাজার সংবাদের একেএম বেলাল উদ্দিন।

এদিকে চার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে চকরিয়া প্রেসক্লাব, চকরিয়া জাতীয় সংবাদ সংস্থা, চকরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবন্দরা তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

তারা অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর ও কারা গুলিবর্ষণ করেছে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাদেরকে মামলার আসামি না করে উল্টো সাংবাদিকদের মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এভাবে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করা যাবে না। সবধরণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

১৬ আগস্ট চকরিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ আল ফোরকান বাদি হয়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা দিয়ে তাদের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা এবং পুলিশ ও চিকিৎসকের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।

দুইটি মামলার এজাহারে ৭৫ জন করে ১৫০ জনকে এজাহারনামীয় এবং দুই থেকে তিন হাজার আসামি করে দুটি মামলায় ৬ হাজার ৫শত জনকে মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার- জেইউসি এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জি এ এম আশেক উল্লাহ, সহ-সভাপতি এম আর মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ার, যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার সাঈদ ও কোষাধ্যক্ষ ছৈয়দ আলম।

এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চকরিয়ায় কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা ইতোমধ্যেই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে পরিষ্কার হয়েছে। উল্লেখিত সাংবাদিককে মামলায় জড়িত করায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ মনে করেন-সাংবাদিকদের মামলায় জড়িয়ে দেয়া কোন মহলের ইশারা ও প্রতিহিংসা থেকে হতে পারে।
চকরিয়ায় প্রেস-পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্ক বরাবরই সুন্দরের মানদণ্ডে বিদ্যমান। নেতৃবৃন্দ এই পরিবেশ বজায় রাখতে অবিলম্বে এই চার সাংবাদিককে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে জোর দাবি জানান।

এইচআর