জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কামরাবাদ বেপারী পাড়ার আলা উদ্দিন বেপারীর একটি অস্ট্রেলিয়ান (গাভী) গরুকে ভুল চিকিৎসা দেয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার কামরাবাদ বেপারীপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমের একটি গাভী গরু দীর্ঘদিন ধরে দূর্বল ছিল। এই সমস্যার জন্য একটি স্যালাইন দেয়ার জন্য বলেন পল্লী চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু। কিন্তু হালিমার কাছে কোন টাকা না থাকায় পরে স্যালাইন দিবেন বলে জানান।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে পল্লী চিকিৎসক দেলোয়ার ওই গাভী গরুকে একটি স্যালাইন (৫০০ মিলি ম্যাজিকেল-২৮) পুশ করেন। পরে স্যালাইনটি তিন মিনিটে শেষ হওয়ার সাথে সাথেই গরুটি মাটিতে পড়ে যায় এবং মারা যায়। এতে দরিদ্র গাভী মালিকের স্ত্রীর আহাজারিতে বাড়ির আশপাশ এলাকা ভারী হয়ে যায়।
হালিমা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, স্যালাইন দেয়ার সময়ও আমার গরু দাঁড়িয়ে ছিল। স্যালাইন শেষ হতেই আমার গরু হঠাৎ পরে মরে গেল। আমার গাভীকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলা হয়েছে।
আলা উদ্দিন বলেন, আমার গরু দূর্বল ছিল, তাই ওই ডাক্তার স্যালাইনের কথা বললে আমরা স্যালাইন দিতে বলি। কিন্ত কি স্যালাইন দিল আমার গরুটা মইরা গেল। আমার গরুর মূল্য প্রায় সাড়ে তিনলাখ হবে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমাদের গরু ভুল চিকিৎসায়ই মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি কোন ডাক্তার না, আমি একজন পল্লী চিকিৎসক। একজন ভেটেরিনারি সার্জনের পরামর্শে গরুটিকে ক্যালসিয়াম দেয়া হয়। এটি দেয়ার পর গরু স্বাভাবিক ছিল। তিনি আরও বলেন, গরুর মালিক গরুটিকে শক্ত করে বাধলে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু টেকনো ড্রাকস লি. এর ভেটেরিনারি বিভাগের জামালপুর এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি দত্ত বলেন, ক্যালসিয়াম স্যালাইনটি গরুর শরীরে স্লো দেয়ার নিয়ম থাকলেও অতি দ্রুত পুশ করাতে হার্ট অ্যাটাক করে গরুটি মারা যায়। এ বিষয়ে খোজখবর নিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআরএস