আজিজুল থাকেন সৌদি আরবে, তবু পুলিশের মামলার আসামি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

সৌদি আরবে অবস্থান করেও পুলিশের দায়ের মামলায় আসামি হয়েছেন আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকার বজল আহমদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামির পিতা বজল আহমদ। এছাড়া আজিজুল হক তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকেও ভিডিও বার্তায় তাঁর বিদেশ থাকার অবস্থান নিশ্চিত করেছেন।

গেলো মঙলবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র পেকুয়ার বারবাকিয়া বাজারে পুলিশের সাথে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার, ওসিসহ (তদন্ত) ১২জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় বুধবার বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর  করার কারনে দুটি মামলা রুজু করে থানা পুলিশ। পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) মফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। দুটি মামলাতেই ১৩২ নম্বর আসামি আজিজুল হক। মামলা দুটিতে এজাহারনামীয় আসামী রয়েছে ১৫১জন। এছাড়া এক হাজার থেকে এক হাজার একশ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সাঈদীর গায়েবানা জানাজার পর জামায়াত নেতা নুরুজ্জামান ও বদিউল আলম জিহাদির নেতৃত্বে আসামীরা বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে সরকার বিরোধী ও উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। একসময় তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা করে ওসিসহ ১২জন পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত জখম করে।

এব্যাপারে আজিজুল হক জানান, দেশের কয়েকজন শুভাকাঙ্খী থেকে মামলায় আমার নাম আছে জেনে অবাক হয়েছি। এটা কেমন মামলা। অবস্থান করছি সৌদি আরবে আর বাংলাদেশের মারামারির ঘটনায় মামলার আসামী হয়ে গেলাম।

তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থান করছি আমি। এখানে শ্রমিকের কাজ করে পরিবার চালাই। আমার মামলার খবর শুনে পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় আছেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কেউ আসামী হলে  অবশ্যই চার্জশিটে তাঁদের নাম বাদ যাবে।

এআরএস