আমুয়াকান্দা বাজারে সবজি আমদানি কম, দাম চড়া

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) ময়মনসিংহ প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৩, ০৮:২১ পিএম

ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আমুয়াকান্দা বাজার। এ বাজারটিকে অনেকেই ফুলপুরের রাজধানী বলে থাকেন। প্রায় সকল ধরনের পণ্যের পাইকারি ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয়ের মোকাম এটি।

প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এ বাজারে আসেন।

উপজেলার একমাত্র পাইকারি সবজির আড়ৎটিও এ বাজারেই অবস্থিত। বর্তমানে বাজারটিতে সবজির আমদানি একেবারেই কম। যার ফলে স্থানীয়ভাবে সবজির দামে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে সকল সবজির দাম।

সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে আমুয়াকান্দা বাজারের সবজি মহাল পরিদর্শন করে দেখা যায়, খুচরা সবজি ব্যবসায়ীগণ প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, ঢেড়স ৫০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবুটি ৮০ টাকা, কাকরল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

বৈকালিন বাজারে সবজি কিনতে আসা একজন ক্রেতা জানান, এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। তার উপরে বর্তমানে সবজির দামেও অস্থিরতা। সংসার চালানোই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

আরেক ক্রেতা চা বিক্রেতা রতন মিয়া বলেন, ৪শ’ টেহা লইয়া বাজার সদাই করতে আইছি। সবজি কিনেই সব টেহা শেষ। অহন অন্য জিনিস কিনমো কি দিয়া।

আমুয়াকান্দা বাজারের সবজি বিক্রেতা আমিনুল হক জানান, আড়তে ও স্থানীয়ভাবে সবজির আমদানি একদম কম। আমদানি কম হওয়ায় দাম বেশি। এতে ব্যবসায়ীদের কি করার আছে। আমি সবসময় সীমিত লাভেই সবজি বিক্রি করি।

এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ তালুকদার জানান, বর্তমানে অনাবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকগণ সবজি উৎপাদনে তেমন সুবিধা করতে পাচ্ছেন না। সামনে শীতকাল আসছে। আবহাওয়া ও ঋতুর পরিবর্তন ঘটলে আশা করি উৎপাদন ও আমদানি দুটোই বাড়বে।

এআরএস