রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্টপুর গ্রামে বিষাক্ত সাপের কামড়ে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
সাপের কামড়ে মারা যাওয়া স্কুল ছাত্রীর নাম সাফা পারভীন (১৩) সে একাই গ্রামের মোঃ শাহজাহান মন্ডলের মেয়ে ও বাহাদুরপুর শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
সাফার পরিবারের সদস্যরা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন সাফা। হঠাৎ রাত দেড়টার দিকে কি যেন কামড় দিয়েছে বলে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। পরে তার বাবা লাইট জ্বালিয়ে দেখেন কালো রঙের ডোরা কাটা সাপ। সাথে সাথেই সাপটাকে মেরে ফেলি।
তারা আরো বলেন, সাফাকে আমরা দ্রুত পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং বলে পাংশা হাসপাতালে কোন ধরনের প্রতিষেধক নাই আপনারা অন্য কোথাও নিয়ে যান। পরে আমরা সেখান থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানেও কোন প্রতিষেধক পাইনি। পরে ভোররাতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে একটি ফার্মেসী থেকে ভ্যাকসিন কিনে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাফাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন দেওয়া শেষে ঔষধ লিখে দেয় ডা. পরে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসার পথে গাড়ির মধ্যেই সাফার মারা যায়।
স্থানীয়রা বলছেন সব নিয়ে আমরা আতঙ্কেই রয়েছি হাসপাতালে প্রতিষেধক না থাকাটা দুঃখজন। সময় মত সাফাকে ভ্যাকসিন দিতে পারলে হয়তো তার মৃত্যু হতো না।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজাউদ্দিন সাহাগ বলেন, এরকম কোন ধরনের রোগী আমাদের হাসপাতালে আসেনি বা বিষয়টি আমি জানিনা।
আরএস