মাদক লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় পকেটে ১ হাজার ২২ ইয়াবা লুকিয়ে রাখায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মীর মাহমুদুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার মামলার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর বিভিন্ন সময়েই আদালত চত্ত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়ে থাকে। গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্ত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়।

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আদালতের মালখানায় জমা থাকা ফেন্সিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ধ্বংস করতে চত্ত্বরে নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান নিজ প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। তবে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্দেহ হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ২২ ইয়াবা উদ্ধার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই সহকারী প্রসিকিউটরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন জানান, গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।

এইচআর