কুমিল্লার চান্দিনায় প্রবাসী শহীদ উল্যাকে হত্যার দায়ে ১৪ বছর পর স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যু দণ্ড ও কন্যাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ আগস্ট) কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, চান্দিনা উপজেলার কাশারীখোলা গ্রামের নিহত শহীদ উল্ল্যা`র স্ত্রী আসামি হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, একই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ শাহজাহান, মৃত মধু মিয়ার ছেলে মোঃ আমির হোসেন ও মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা (পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন নিহতের কন্যা মোছাঃ খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজা।
আদালত ও মামলার অভিযোগে জানা যায়, শহীদ উল্ল্যা ৮/৯ বছর যাবত বিদেশে থাকার পর বাড়ীতে আসেন। ২০০৯ সালে ২১নভেম্বর দিবাগতে সে নিখোঁজ হয় বলে পরিবার থেকে জানানো হয়। পরে ভোর অনুমান ৭টার দিকে গ্রামের মাঠের ধান ক্ষেতের তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আরব আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক মোঃ আঃ হান্নান (বর্তমানে পটুখালীর ধুমকী থানার ওসি) নিহতের স্ত্রী-কন্যাসহ অপর দুজনকে গ্রেফতার করে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যা বলে তদন্তে উঠে আসে। পরে ২০১০ সালের ৩১ মার্চ নিহতের স্ত্রী কন্যাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সরকার পক্ষের এপিপি এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন বলেন, মামলার শুনানীকালে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, মোঃ শাহজাহান, মোঃ আমির হোসেন ও মোঃ মোস্তফাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০,০০০/- টাকা করে অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এছাড়াও আসামি মোছাঃ খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন, হোছনেয়ারা ও খাদিজা বেগম। অপর বাকী দুজন মোঃ মোস্তফা ও শাহজাহান অনুপস্থিত ছিলেন।
আরএস