মাছ শিকার করেই দিন চলে যায় হামার দুই ভাইয়ের। প্রতিদিন চটকা জালে মাছ ধরে বিক্রি করি ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। আবার বেশির ভাগ দিনেই আয় হয় ১৫-১৭শ টাকা। যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই দুই ভাইয়ের সংসার খরচ চলে। পানি বেশি থাকলে রুই, কাতলা বোয়াল, চিতল আর পানি কমলে দেশি শিং, টেংনা পুটি টাকি, বালিয়া ইত্যাদি মাছ ধরেন তারা।
গোদ্দারের ব্রীজ(সুইচগেট)চটকা জাল দিয়ে বছরের পাঁচ মাস মাছ ধরেন বলে জানান জেলে পাড়ার ফেরদৌস(৩৭)। রাজারহাট উপজেলার টগরাইহাট বাজার থেকে ফরকেরহাট গামী রাস্তায় গোদ্দারের সুইচ গেটে(ব্রীজ) নিয়মিত চটকা জালে মাছ শিকার করেন আপন বড় ভাই ছয়ফুলসহ(৪৫)। ওরা দুই কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের প্রতাপ ব্যাপারী পাড়ার মৃত দেলোয়ার হোসেনের দুই পুত্র।
ফেরদৌস বলেন বর্তমানে কাজকর্ম না থাকায় এখন আমরা দুই ভাই মাছ ধরি আর বিক্রি করি। আমি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে যাপন যাপন করি।
ছয়ফুল ইসলাম জানান, আমার পরিবারের পাঁচজন। আমি আর ছোট ভাই নিয়মিত মাছ শিকার করেই জীবিকানির্বাহ করি। যখন পানি থাকেনা তখন কৃষি ও ইটভাটায় কাজ করে জীবন চালায়।
আব্দুল আজিজ নামে একজন বলেন, ওরা দুই মাছ শিকার করেই জীবিকানির্বাহ করে।বছরের পাঁচ মাস মাছ শিকার করে।বিভিন্ন সময়ে বাড়ীতে আত্মীয় স্বজন আসলে অসময়ে মাছ তাদের কাছেই পাই। মাহবুবুর রহমান বলেন হামরা হাটে বাজারে মাছ কিনতে যাইনা। এখানে আসলেই টাটকা মাছ পাই।
আরএস