কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পাকা সড়কে একটি ভাঙা কালভার্টের কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার দুই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
বিকল্প রাস্তা কাছাকাছি না থাকায় নিয়মিত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়েই চলাফেরা করতে হয়।
কালভার্ট রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ছাট মল্লিক গ্রামের চাকিরপশার বিলের পানি প্রবাহের নালার উপরে ভগ্নদশায় দাড়িয়ে রয়েছে এখনো।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৪ বছর পূর্বে কালভার্টটির মাঝে ভেঙে যায়। এতে ও-ই রাস্তা দিয়ে রিকশা ও অটো চার্জার গাড়ী পার করতে পরতে হয়।
তারা বলেন, কালভার্টের মাঝে ভেঙে যাওয়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।
ছাট মল্লিকবেগ গ্রামের নুর ইসলাম বলেন, অনেক দিন থেকে কালভার্টটির ভাঙা অবস্থায় অথচ চলাচলে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কেনো নতুন কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছেনা কেনো মানুষ দুর্ঘটনায় আহত, চলাচল ব্যহত হউক কর্তৃপক্ষ মনে হয় এটাই চায়। রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীর বিপদে এ্যাম্বুলেন্স কিংবা অগ্নদুর্ঘনায় ফায়ার সার্ভিসেরও গাড়ি ডুকবেনা।
মমিন বলেন, আমি ১০ বছর ধরে অটোরিকশা চালাই। তবে এরকম পাকা রাস্তার এমন ভাঙা কালভার্ট দেখিনি। যাত্রী নামিয়ে দিলাম। অটোরিকশা পার করতে গেলে নিচে পড়ার সম্ভবনা আছে।
রাজারহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর ইসলাম মন্ডল সাবু বলেন, আমরা চাইনা মানুষ দুর্ভোগে থাকুক। আমি একাধিকবার নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে বলেছি; আশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।
রাজারহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এতো বড় কালভার্ট নির্মাণের বাজেট হয়না।
রাজারহাট উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, আমাদের স্কিম অনুমোদন হয়েছে। তাতে ২৯ লাখ সামথিং টাকা ব্যয়ে একটি বড় কালভার্ট টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন।
এআরএস