চাঞ্চল্যকর নাঈম হত্যা মামলার আসামি স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চাঞ্চল্যকর নাঈম হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জা এবং তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করছে বগুড়া র‌্যাব-১১ ও জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বগুড়ার গাবতলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা  হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে রেজ্জাকুল ইসলাম ওরফে রাজ্জাক (৪৩) তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮)। এর আগে মামলার আরেক আসামি বাড়ির মালিক সামছুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দম্পতি কিছুদিন আগে তারা পাঁচবিবি উপজেলা ধরঞ্জী গ্রামে সামছুলের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করতেন।

জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ধরঞ্জী বাজার এলাকার সামছুল ইসলামের বাড়ির গোসলখানা নির্মাণের জন্য টয়লেটের পাশে মাটি খনন করার সময় মানুষের হাড়গোড়সহ গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে মরদেহটি নাঈম হোসেনের বলে শনাক্ত করেন তার পরিবার। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর নিহতের মা গোলাপ বানু  বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর র‌্যাব  ১১ ও  ৫   তথ্য প্রযুক্তির  সাহায্যে  তাদের অবস্থান সনাক্ত করে যৌথ  অভিযান চালিয়ে তাদেরকে  বগুড়া সদরের পীরগাছা এলাকা থেকে  গ্রেপ্তার  করা হয়। পরে পাঁচবিবি থানায় তাদেরকে  হস্তান্তর করা হয়।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক জানান, মরদেহের প্যান্ট, বেল্ট দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিহতের মা গোলাপী বানু বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ভাড়াটিয়ার স্ত্রী  সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে নাঈম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। আসামিদের বুধবার  আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাওয়ার কথা বলে নাঈম বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ২৫ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মামা অহেদুল ইসলাম। জিডির পর নিখোঁজ নাঈমের সন্ধানে পুলিশ তৎপর থাকলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে সাড়ে ৫ মাস পর সামছুলের বাড়ির নির্মাণাধীন গোসলখানার মাটির নিচ থেকে  তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এআরএস