পূর্ব সুন্দরবনের ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের সময় বনরক্ষীদের গুলিতে এক শিকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্য এলাকার চান্দের আড়া খালে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে আহত জয়নাল মাঝি নামের ওই শিকারী বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামো আঃ রশিদ মাঝির পুত্র।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, একদল শিকারী কচিখালি অভয়ারণ্য এলাকার চান্দের আড়া খাল এলাকার বনে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ পেতে রাখে। এরপর ওই খালে মাছ ধরার অজুহাতে নিষিদ্ধ বেন্দি জাল পেতে একটি ট্রলারে অবস্থান করছিল।
বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের স্মার্ট পেট্রোলিং দল নিয়মিত টহল দেয়ার সময় ওই ট্রলারটি দেখে তারা চ্যালেন্স করে। বন রক্ষীদের দেখতে পেয়ে শিকারী দলটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বনরক্ষীরা স্পিড বোটে নিয়ে তাদের দাওয়া করে। বনরক্ষীরা কাছাকাছি গেলে শিকারী দল ট্রলার দিয়ে সজোরে তাদের বোর্ডকে ধাক্কা দিলে তিন বনরক্ষী পানিতে পড়ে যায়। এতে স্পিড বোটে পানি উঠে যায় এবং আংশিক ভেঙ্গে যায়। বনরক্ষীরা এসময় তাদের জানমাল রক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়লে শিকারীরা ট্রলার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বনের ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিনশত ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ ও বেন্দি জালসহ কয়েক মন মাছের রেণু উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারি কাজে বাধাঁ প্রদান ও বনে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে এসিএফ জানান।
এসিএফ জানান, তিনি পরবর্তীতে জানতে পারেন বনরক্ষীদের একটি গুলি জয়নাল মাঝি নামের এক শিকারীর হাতে লাগলে সে সামান্য আহত হয়।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জয়নাল মাঝি নিজেকে একজন জেলে দাবী করে বলেন, আমরা কচিখালির ওই এলাকায় মাছ করছিলাম এমন সময় বনরক্ষীরা এসে তাদের উপর এলোপাতারি গুলি চালায়। গুলিতে তার ডান হাতের কনুইয়ের উপর থেকে ছিড়ে যায়। তিনি বর্তমানে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এআরএস