ফেনীতে টিউবওয়েল স্থাপনে অনিয়ম, জনপ্রতিনিধিদের অসন্তোষ

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৭:২০ পিএম

ফেনীতে সরকারীভাবে টিউবওয়েল স্থাপনে নানা অনিয়মে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। রোববার (১৭ সেপ্টম্বর) জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় বিষয়টি তুলে ধরেন তাঁরা।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোমেনা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফতাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, দাগনভূইয়া পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে টিউবওয়েল দিয়ে থাকে। তবে  এ চাপকল নিতে গেলে পদে পদে নানা বাধা-বিপত্তি ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় সুফলভোগীদের।

তিনি বলেন, প্রথমে টিউবওয়েল অনুমোদন নিতে দিতে হয় ঘুষ, যারা ঘুষ দেয় না তারা টিউবওয়েল বরাদ্দ পায় না। টিউবওয়েল বসানোর সময় একাধিক শ্রমিককে টানা কয়েকদিন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয় সুফলভোগীদের। যত ফুট বসানোর কথা তত ফুট গভীর করে বসানো হয় না। বসানোর কিছুদিন পর আর টিউবওয়েলে পানি উঠে না।

একই প্রসঙ্গ টেনে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, টিউবওয়েল বসানোর জন্য ঠিকাদারদের ঘুষ দিয়েও সঠিক সময়ে সেবাটি পাওয়া না। অনুমোদন হওয়ার পরও টিউবওয়েল বসাতে ২/৩ বছর লেগে যায়। ঠিকাদারদের নানা গাফিলতির কারনে, টিউবওয়েল বসানোতে অনিয়ম করায় কিছুদিন পরে আর পানি উঠে না। তখন সুফলভোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।

এর প্রেক্ষিতে সভার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার এ বিষয়ে অনিয়ম ও জনভোগান্তি দ্রুত দূর করতে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন এবং পাশাপাশি আগামী সভায় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে অগ্রগতি অবহিত করার দির্দেশ দেন।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সদর উপজেলার খালসমূহ ময়লা ফেলার কারনে ভরাট হয়ে গেছে। খালগুলো ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তাগিদ দেন। ফেনীর বিজয়সিংহ দীঘির পাড়ে একটি দৃষ্টিনন্দন লাভ পয়েন্টের কাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সভার একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুৎতের লোডশেডিং নিয়ে আমরা জনপ্রতিনিধি রাজনীতিকরা বিব্রত। বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে লোডশেডিং ভয়াবহ। রাতদিন বেশীরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। মানুষ এ জন্য সরকারের বদনাম করছে।

এআরএস