বাগেরহাটের রামপালের চকগোনায় বসত ঘরের উপর দিয়ে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির এক লাখ ৩২ হাজার ভোল্টেজ লাইন টানায় আতঙ্কে রয়েছেন এক বাসিন্দা। চকগোনা গ্রামের মৃত যতীন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র স্বপন কুমার সরকার এমন অভিযোগ করে প্রতিকার চেয়ে খুলনা সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের চকগোনা গ্রামের স্বপন সরকারের বসবাসরত ঘরের উপর দিয়ে এক লাখ ৩২ হাজার ভোল্টেজের লইন টানা হয়েছে। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. বড় বড় টাওয়ার করে তার সঙ্গে লাইন যুক্ত করে। এতে তারের নিচে থাকা ঘরের বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় তারা রামপাল উপজেলা রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন স্বপন।
তবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার না পেয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে স্বপন আরও বলেন, চকগোনা মৌজার ১০৫১ খতিয়ানের ১৮ দাগের মাত্র ২০ শতক জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। রাতদিন তারের বিকট শব্দে ঘুম আসে না। বিশেষ করে একটু জোরে বাতাস হলেই তারের শো শো শব্দে বাচ্চারা ভয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে। তিনি সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। প্রতিকার পেতে স্বপন বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে ওরিয়ন পাওয়ার কোম্পানিতে সিভিল সিকিউরিটি হিসেবে চাকরি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্বপন।
বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে দিনাতিপাত করছে। তার চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী স্বপন।
এ বিষয়ে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি. খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম কুমার সাধু এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কারো বাড়ি বা ঘরের উপর দিয়ে লাইন টানা হলে সরকারি বিধি অনুযায়ী কোন ক্ষতি পূরণ পাবেন না। তবে শুধুমাত্র সংযোগ দেয়ার সময় বড় কোন গাছকাটা হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। স্বপন সরকার অভিযোগ করেছেন এবং লাইনটানার সময় তিনি অসহযোগীতা করেন। লাইনের তার কোন কারণে ছিড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এআরএস