সালথায় তিন মিনিটের ঝড়ে ৩০ বসতঘর বিধ্বস্ত, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম

ফরিদপুরের সালথায় ভারি বর্ষণের মধ্যে মাত্র তিন মিনিটের আকস্মিক ঝড়ে ২০টি কৃষক পরিবারের অন্তত ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক বিধবা নারীর বসতঘরের ওপর বিশাল গাছ পড়ে ঘরটি মাটিয়ে সাথে মিশে গেছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে অন্ধকার হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রাম। বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে ভয়াবহ ঝড়ে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ ছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিম্নাঞ্চলে বসতবাড়িতে ঢুকে গেছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারন মানুষ।

ওই এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সোনাতুন্দী গ্রামে ভয়াবহ ঝড়ে আঘাত হানে। প্রচন্ড বেগে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানো কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মো. সগির মুন্সির অন্তত ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় সবাই কৃষক। অন্যদিকে বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র সম্বল আধাপাকা বসতঘরটির ওপর বিশাল একটি গাছ পড়ে তছনছ হয়ে যায়। এ সময় লিপি বেগম বাথরুমে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

শুক্রবার দুপুরে বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ২০টি পরিবারের অনেকগুলো বসতঘর। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর ছিড়ে পুরো গ্রাম বিদ্যুতবিহীন রয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঝড়ে। বিশেষ করে ১০টির মত বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তাছাড়া আরও অনেকগুলো ঘর ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বিধানি/এআরএস