বুড়িচংয়ে শাক-সবজি ও মাছের বাজারে আগুন! সাধারণ মানুষ দিশেহারা

গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং, (কুমিল্লা) প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম

টানা বর্ষণে সবরকম শাক সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ  বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে মাছের দামও। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম।বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার ঘুরে দেখা গেল , সবকিছুই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শাক-সবজি থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই বেশি। সবজি বিক্রেতা মো. সামসু মিয়া  বলেন, টানা বর্ষণের কারণে মৌসুমী ফসলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সরবরাহ কম। তাই গত দুই একদিনে প্রতিটি শাকসবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরেক দোকানী সবুজ জানান, বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি৭০/৮০ টাকায় যা গত কয়েকদিন আগে ছিল ৫০/৬০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি১১০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০/৯০, আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৫ টাকা, পটল কেজি ৬০ টাকা, তিত করলা কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা কেজি ৬০ টাকা, ঢেড়স কেজি ৬০/৭০ টাকা, শসা কেজি ৫০ টাকা, বরবটি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

পারুল আক্তার নামে এক গৃহিণী  জানান, গত মাসের শুরুতে বেগুন, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন শাকসবজির দাম নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে সব রকম শাকসবজির দাম দ্বিগুণ  বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে দাম বেড়েছে সব রকমের মাছের।   বিভিন্ন ধরণের মাছে প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতা।

মাছ বিক্রেতা মো. আব্দুল হালিম  বলেন, সামুদ্রিকসহ সব রকমের মাছের দাম সামান্য বাড়তি।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, লাল কোরাল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কৈ কোরাল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ (বড়) প্রতি কেজি ৯’শ টাকা ও ছোট রূপচাঁদা মাছ প্রতি কেজি ৮’শ টাকা, কালো চাঁদা কেজি ৬’শ টাকা, বাগদা চিংড়ি কেজি ৮০০/১০০০ টাকা, লইট্ট্যা মাছ কেজি ২০০ টাকা, কাতলা কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা,  রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০/ ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি।

এদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি১০০০ টাকা, দেশি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা এবং বয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০/১৭৫ টাকা দামে।

আরএস