ত্রিশালে বাস চাপায় নিহত বেড়ে ৬

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৩, ০৩:৩০ পিএম

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের চেলেরঘাটে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাসের চাপায় পাঁচজন গার্মেন্টস কর্মী ও এক ব্যবসায়ী নিহত। আহত হয়েছেন ১৩ জন ।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, বুধবার সকাল আটটার দিকে শেরপুর থেকে ঢাকা গামী এস এস ট্রাভেলস(ঢাকা মেট্রো-ব ১২-০৫২৩)বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাটে চাকা পাংচার হলে বাসের যাত্রীরা অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

সকাল আটটার দিকে লাবিব ও অন্য গার্মেন্টেসের পোশাক শ্রমিকরাও ঐ স্থানে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এসময় পেছন থেকে রাসেল স্পিনিং মিলের রাব্বী-সেতু (ঢাকা মেট্রো-জ ১৪-১০০৪) পরিবহন দ্রুত গতিতে যাত্রীদের ওপর উঠে পড়লে বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। পরে উপজেলা হাসপাতালে একজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যুহয়।

নিহতরা হলেন- উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের তেতুঁলিয়াপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আক্তার (৩০), একই উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের গন্ডখোলা গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে বখতিয়ার হোসেন সোহেল (৩৫), ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাটি ঘাগড়া বেপারীবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের ছেলে শিমুল আহমেদ জয় (২০), চুরখাই জামতলী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে খলেকুজ্জামান লিটন(২৮), ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের মারুয়াখালী গ্রামের মেহেকম মুন্সির ছেলে আলতাব হোসেন (৬০) আরও একজন মহিলা অজ্ঞাত রয়েছে।

নিহতদের লাশ গুলো ত্রিশাল থানায় নিয়ে আসলে স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমাইন উদ্দিন জানান, সকাল আটটার দিকে বিকল বাসের ও লাবিবসহ অন্য গার্মেন্টের পোশাক শ্রমিকরাও ঐ 
স্থানে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

এসময় পেছন থেকে রাব্বী-সেতু(ঢাকা মেট্রো-জ ১৪-১০০৪)ঘাতক পরিবহন দ্রুত গতিতে যাত্রীদের উপর উঠে পড়লে বাসের চাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। 

পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজন ও হাসপাতালে চিকিৎসা দিন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে তৎপরতা চলছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এইচআর