মেহেরপুরে গাংনী উপজেলায় গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২২ জন ব্যাক্তি বিষ পান করেছে।
জানা যায় এই সব বিষ খাওয়া ব্যাক্তিরা কেউ পরোকিয়া প্রেম,স্বামীর সাথে ঝগড়া করে, স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে, আবার কেউ শশুর শাশুড়ীর সাথে ঝগড়া করে,আবার কেউ মোটরসাইকেল ও দামী মোবাইল কিনে না দিয়ার জন্য বিষ পান করেছে। তবে বেশীর ভাগ স্বামী স্ত্রী ঝগড়া নিয়ে বিষ পান করেছে। গাংনী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় গত সেপ্টেম্বর মাসে মহিলা ১১ জন পুরুষ ১১ জন মোট ২২ জন ব্যাক্তি বিষ পান করেছে।
গাংনী হাসপাতালের হিসাব ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এলাকার লোকাল ডাক্তার দিয়ে বিষ ওয়াস করছে তার হিসাব নাই। যদি সেই গুলো খোঁজ খবর নিয়ে হিসাব করলে দেখা যাবে গড়ে প্রতিদিন এক জন করে বিষ পান করেছে। এটা কেন করছে সেটা গাংনী উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুপ্রভা রানী বলেন আসলে অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে দুই জনের মধ্যে সেই রকম ভাব আলপ সঠিক ভাবে না হওয়ার কারনে এই ধরনের আত্মহত্যা বিষয়টি বেছে নেই।
এদিকে গাংনী হাসপাতালের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ডাক্তার আদিলা আজহার আরশি বলেন কিছু যুবক ও যুবতী দের মধ্যে আবেগর প্রেম ভালোবাসা হয় কিন্তু পরিবার থেকে যখন মেনে নেই না তখন এই আত্মহত্যার পথ বেছে নেই আবার অনেক সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হয় কিন্তু একপক্ষ যদি সেটা মেনে নেই তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।আর যদি না মানা হয় তাহলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেই, তাই আমাদের উচিৎ সকল মাধ্যম দিয়ে এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে কোন ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা না ঘটে।
কীটনাশক বিভাগের অনুমোদন কারি অফিসের কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন আমরা এলাকাতে যে সকল সার ও কীটনাশক দোকানদার কে লাইসেন্স প্রদান করে থাকি তাদের কে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিই যে প্রকৃত কৃষক ছাড়া কারোর কাছে কীটনাশক বিক্রয় করা যাবে না এবং কোন শিশু ও মহিলাদের কাছে কীটনাশক বিক্রয় করা একবারে নিষিদ্ধ করা আছে। েযদি এই ধরনের কোন অভিযোগ আসে তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন গত সেপ্টেম্বর মাসে গাংনী উপজেলায় ৩ জন ব্যাক্তি বিষ পান করে মারা গেছে। তবে যারা বিষ পান করেছে তারা বেশির ভাগই দারিদ্রতার কারণে এবং জনসচেতনতা না থাকায় বিষ পান করে থাকেন। তবে এটা রোধ করতে হলে আমাদের কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আরএস