বরিশালে ইলিশ ধরা বন্ধের অভিযান শুরু

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম

সরকারের নির্দেশনা মানতে ইলিশ মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর।

গত রাত ১২টা আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন জাতীয় মাছ ইলিশ আহরন, বহন ও বিপনন সম্পূর্ন বন্ধ রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।

বরিশাল অঞ্চল নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন এর নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র কে সাথে নিয়ে একাধিক টিম কৃতনখোলা নদীতে মাছ ধরা বন্ধে নৌ টহল পরিচালনা করা হয়। নদীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ২২ দিন সাড়ে ৩’শ নৌ পুলিশ নদী ও খালে নিয়োজিত থাকবে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর। এছাড়া দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলার অংশ বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে চাঁদপুর থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার ১০০ কিলোমিটার, ভোলার চর পিয়াল থেকে মেঘনার শাহবাজপুর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর চর রুস্তম ও তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরে নরিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় মেঘনার ২০ কিলোমিটার ও বরিশালের হিজলা মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীর ৮২ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে, মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জন নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‍‍`২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের টাস্কফোর্স উপজেলা প্রশাসনসহ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এসময় আইন ভেঙে ইলিশ শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।

এআরএস