মাদারীপুরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সদর উপজেলাধীন শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকায় মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু পরিবহনরত অবস্থায় সাতটি বাল্কহেড আটক করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পিরোজপুর জেলার রাজাবাজার গ্রামের মো. দুলাল মাঝির ছেলে মো. মহসিন (৩৫), বলদিয়া কাটাখালী গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. নাসির (৩০), কাটাখালী গ্রামের মো. ইয়াকুব আলী হাওলাদার ছেলে মো. জাহারুন (২৫), গ্রামডুবি গ্রামের মো. আইউব আলীর ছেলে মো. ওবায়দুল (৩৪), উত্তর কুটিবুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জলিল (৩০), বড়ইবাড়ী গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. ফরিদ (৩৭) ও বরিশাল জেলার পশ্চিম তেতলা গ্রামের মো. আজিজ হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল (২৭)।
মাদারীপুর সদর উপজেলাধীন শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আটককৃত বাল্কহেড সমূহের ব্যবস্থাপকগণ অবৈভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকার অপরাধ স্বীকার করায় তাদেরকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রদান করা হয়।
আটককৃত বাল্কহেড থেকে জব্দকৃত ৪৪,০০০ ঘনফিট বালু রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ বিশ হাজার টাকা। বাজেয়াপ্তকৃত বালু স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্দ অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমাদানের জন্য চেয়ারম্যান শ্রিখাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (আহবায়ক), ইনচার্জ শ্রীনদী তদন্তকেন্দ্র (সদস্য) এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, শিরখাড়া (সদস্য সচিব) এর সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠণ করা হয়।
একইসাথে আটককৃত বাল্কহেড মালিকগণের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ আটককৃত বাল্কহেড সমূহের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইনচার্জ, কলাতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এর হেফাজতে দেয়া হয়।
এইচআর