মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ক্লিংকার (সিমেন্টের কাঁচামাল) বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। প্রচন্ড স্রোতের টানে নোঙ্গর ছিড়ে কার্গোটি নদীর চরে ঠেকে ডুবে যায়। কার্গোটিতে থাকা ১১জন ষ্টাফ-কর্মচারী সাঁতরিয়ে কুলে উঠে যান।
ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের মাস্টার মো. এনায়েত ও বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন`র মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মো. মাঈনুল ইসলাম মিন্টু জানান, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে রোববার দুপুরে ৮শ মেট্টিক টন সিমেন্টের কাঁচামাল (ক্লিংকার) বোঝাই করে কার্গো জাহাজ এম, ভি আনমনা-০২।
এরপর কার্গোটি বিদেশী জাহাজ থেকে ছেড়ে এসে পশুর নদীর পশ্চিম পাড়ের দিকে বানীশান্তা এলাকায় নোঙ্গর করে। পরে প্রচন্ড স্রোতের টানে কার্গোর নোঙ্গর ছিড়ে রাত ৮টার দিকে নদীর পূর্ব পাড়ের চরকানা এলাকায় চরে উঠে গেলে জাহাজটি সেখানে ডুবে যায়। তখন জাহাজটিতে থাকা ১১জন ষ্টাফ-কর্মচারী সাঁতরিয়ে কুলে উঠে যান।
তবে জাহাজটি পশুর নদীর জাহাজ চলাচলের মূল চ্যানেলের বাহির চরে ডুবায় মুল চ্যানেল দিয়ে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে এ কার্গো জাহাজটি খুলনার লবণচরা এলাকার সুন শিন কোম্পানীর সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর (সেভেন রিং সিমেন্ট) জেটিতে যাওয়ার পথিমধ্যে মোংলার পশুর নদীতে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই স্থানীয় লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মোংলা-রামপাল সার্কের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মুশফিকুর রহমান তুষার কার্গো দুর্ঘটনাকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন।
এইচআর