চতুর্থ দিনের মতো গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় কারখানা শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় শ্রমিকরা ঢাকা -টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে মহাসড়কের দুই দিকে দীর্ঘ ১০/১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে ওই সড়কে চলাচলকারী শতশত অসহায় যাত্রী।
এসময় বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা বেশকিছু যানবাহন ভাংচুর করে। একপর্যায়ে একটি শিশুকে এক্সিডেন্ট করে উল্টোপথে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা একটি জীপগাড়ি ভাংচুর করে পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কারখানা শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায় , বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার শিল্পাঞ্চল মৌচাকের তেলিচালা এলাকায় অবস্থিত লগোজ এ্যাপারেলস লিমিটেড, এটিএস এ্যাপারেলস লি.হাইড্রোঅক্সাইড লি: এবং কোনাবাড়ি এলাকার এলজেড
লিমিটেড, ওরিয়েন্ট এলিউর লিনজেরী লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় শ্রমিকরা তাদের বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানায়। ফলে মহাসড়কে দুইদিকে ১০/১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে কয়েকবার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ।
এ সময় শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুরতে থাকে। এসময় এক্সিডেন্ট করে উল্টো পথে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা একটি জীপগাড়ি ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় । বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেশকিছু যানবাহন ভাংচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়াারসেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শ্রমিকরা সরে গেলে দুপুর দেরটার দিকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবী বহিরাগত কিছু লোক আমাদের নায্য আন্দোলনকে ভিন্নখাতে রুপদেয়ার জন্য কৌশলে আমাদের সাথে মিশে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও যানবাহন ভাংচুর করেছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, এখন সম্পুর্ণ পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এআরএস