কি পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পেলে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে জানাবেন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে বলেছেন, পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলে কি পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পেলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ঘুরে দাড়াতে পারবে আমাদের জানাবেন৷ আমরা তৎক্ষানাত এ বরাদ্ধ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাই বোনদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করেদেব৷

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের খুরুশকুল ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ ও ঢেউটিন উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন৷

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য সরকার জনগণের পাশে রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে জেলায় এখনো অচলাবস্থা চলছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৯ উপজেলার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৯৫৯টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা ৫ হাজার ১০৫ এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার।

এছাড়াও ৪৯৬টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে, প্রায় ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যে কারণে এখনো মহেশখালী কুতুবদিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটসেবা চালু করা যায়নি।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ টাকা ও ঢেউটিন বিতরণ অব্যাহত রয়েছে৷

এআরএস